ভারতফেরত যাত্রীদের নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে
ভারতফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আজ বুধবার বিকেলে এ নির্দেশনা পেয়েছে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত বছরের একই সময়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা সরকারি অর্থায়নে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার সুযোগ পেয়েছিল। যাত্রীদের এবার নিজ খরচে থাকতে হবে কোয়ারেন্টিনে। এর ফলে দুশ্চিন্তা ও হতাশায় পড়েছে যাত্রীরা। সরকারি অর্থায়নে কোয়ারেন্টিন চালুর দাবি জানিয়েছে যাত্রীরা।
হঠাৎ করে নির্দেশনা আসায় পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় এই মুহূর্তে ভারতফেরত যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানায় ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগ।
পরিবেশ তৈরি করে আগামী দুদিনের মধ্যেই কোয়ারেন্টিন চালুর কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব বলে জানায় স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভারত থেকে আসা যাত্রী নর্মিলা দেবনাথ বলেন, ‘আমার করোনা টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ থাকায় আমাকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে আমাকে বাড়িতে গিয়ে ১৫ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরমর্শ দিয়েছে। তবে ফেরার পথে পকেটে বাস ভাড়া ছাড়া আর কোনো টাকা থাকে না। ১৪ দিনের ব্যক্তিগত খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকব কিভাবে?’
সরকারিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেবার দাবি জানান ওই ভারতীয় যাত্রী।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শুভাশিষ রায় আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘নির্দেশনা পাওয়ার পর যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার পরিবেশ তৈরি করতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রতিটি যাত্রীর করোনা রিপোর্ট দেখা হচ্ছে। যাদের নেই তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।’
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে শুধুমাত্র বিজনেস ও মেডিকেল ভিসায় যাত্রী পারপার করছে। প্রতিদিন এক হাজার থেকে দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে দুদেশের মধ্যে। ফেরত আসা এসব যাত্রীদের ৮০ শতাংশ মেডিকেল ভিসার যাত্রী। বাকি যাত্রীরা যাচ্ছে বিজনেস ও কূটনৈতিক ভিসায়। ভারত সরকার গত বছরের ১৩ মার্চ বন্ধ করে দেয় টুরিস্ট ভিসা।