বরিশালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪-এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মাসুদ খান হাসপাতালের বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।
মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে গতকাল বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন ডা. মাসুদ খান। এতে শেবাচিম হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও কলেজের শিক্ষার্থী অভির নাম উল্লেখ করে এবং আট-দশজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মামলায় ওই চিকিৎসককে মারধর ও নির্যাতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে খোঁজ নিতে আজ শুক্রবার থানায় যান হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। সঙ্গে কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও ছিলেন।
এ সময় হাসপাতালের পরিচালক বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আইনগত করণীয় নির্ধারণ করতে থানায় যান তিনি।
এদিকে ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি নূর ইসলাম দিপু জানান, মামলার বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানা গেছে।
গত ২০ অক্টোবর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খানকে মারধরের অভিযোগ করা হয় কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ২২ অক্টোবর মাসুদ খানের বিরুদ্ধে হাসপাতাল পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এরপর মাসুদ খানের শাস্তি ও তাঁর বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট আটকে দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ রোগী ও তাদের স্বজনরা। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আড়াই ঘণ্টা পর কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।