ব্রিটিশবিরোধী টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজংকে সম্মাননা স্মারক প্রদান
ব্রিটিশবিরোধী টংক আন্দোলনের সংগ্রামী নেত্রী কুমুদিনী হাজংকে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সম্মাননা স্মারক, টাকা, কম্বল ও খাদ্য সহায়তা।
আজ শনিবার বিকেলে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান তাঁর হাতে তুলে দেন এ সম্মাননা স্মারক ও সহায়তা সামগ্রী।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা খানম, দুর্গাপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী, দুর্গাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুয়েল সাংমা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহনুর-এ আলম, কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
নেত্রকোনা জেলার ব্রিটিশবিরোধী টংক আন্দোলনের অন্যতম নারী নেত্রী কুমুদিনী হাজং। জেলার দুর্গাপুর উপজেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে সোমেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরে বহেরাতলী গ্রামে এক কৃষিজীবী হাজং পরিবারে কুমুদিনী হাজং-এর জন্ম। কুমুদিনীর বাবা অতিথ চন্দ্র হাতিখেদা বিদ্রোহী ছিলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ের পাদদেশে হাজং আদিবাসী সম্প্রদায়ের বসবাস।
সনাতন ধর্মাশ্রয়ী হাজং আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন বহু আগে থেকেই তান্ত্রিকতাবাদে বিশ্বাসী। যুগ যুগ ধরে কৃষিই হাজংদের একমাত্র পেশা। ১৭৭০ সালে থেকে হাজং সম্প্রদায়কে সুসং জমিদারদের হাতি ধরার কাজে নিয়োজিত করায় তারা বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। ইতিহাসে সে আন্দোলন 'হাতিখেদা বিদ্রোহ' নামে খ্যাত।
কুমুদিনী হাজং-এর জন্ম সন তিনি নিজেও বলতে পারেন না। তবে তিনি তাঁর বয়স অনুমান করেন ৭৩ বা ৭৪ বছর। কুমুদিনী হাজং এর জন্মের দু'বছর পরেই বাবা অতিথ চন্দ্র রায় হাজং ও মা জনুমনি হাজং মারা যান। মামার কোলেপিঠেই বড় হন কুমুদিনী হাজং। শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার না থাকায় সে সময় বহেরাতলী গ্রামসহ পাশের অঞ্চলে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল না। সে কারণেই কুমুদিনী হাজং কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগ্রহণ করতে পারেননি।