ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রবাসীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন ও মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নির্যাতিতের পরিবার। আজ বুধবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন নির্যাতিতের মা শারমিন সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে শারমিন সুলতানা বলেন, ‘২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি ইতালি প্রবাসী শহিদুল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে আমার বড় মেয়ে ছাবিকুন্নাহার নীলাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ১৫ থেকে ২০ দিন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থেকে শহিদুল আবার ইতালিতে চলে যান। বিয়ের অন্তত ছয় মাস পর্যন্ত স্ত্রী নীলার সঙ্গে স্বাভাবিক যোগাযোগ করেন তিনি। এর পরই প্রতারক শহীদুলের আসল মুখোশ উন্মেচিত হয়। তিনি বিয়েকে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় নীলা বাদী হয়ে শহিদুল গংয়ের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলেও শহিদুলের লোকজন কৌশলে মামলাটি খারিজ করে ফেলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি নীলার বিরুদ্ধে নানা অপবাদ ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্নের অপচেষ্টা করেন।’
নীলার মা শারমিন সুলতানা আরো বলেন, ‘গত ৪ অক্টোবর শহিদুলের ছোট ভাই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে আমি, আমার দুই মেয়েসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (নবীনগর) মামলা করেন। এ ছাড়া চক্রটি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’