বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে হাইকমিশনার ইমরানের মতবিনিময়
আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরো গতিশীল করতে যশোরের বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান। আজ শুক্রবার বিকেলে সীমান্তের শূন্যরেখায় পৌঁছালে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান তাঁকে শুভেচ্ছা জানান।
বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয় মোহাম্মদ ইমরানকে। হাইকমিশনার বেনাপোল বন্দর, আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ও কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। পরে কাস্টমস হাউসের সম্মেলন কেন্দ্রে কাস্টমস, বন্দর, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও সুধীবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অতীতের চেয়ে অনেক ভালো। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে আরো গতিশীল করতে পারলে জাতীয় স্বার্থ রক্ষিত হবে। উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীরা চান দুই দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করতে। দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া আরো বৃদ্ধি পেলে উপকৃত হবে দুই দেশের জনগণ।
হাইকমিশনার আরো বলেন, স্থলবন্দরগুলো কী অবস্থায় আছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখছি। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য আরো বাড়াতে সমন্বিতভাবে প্রতিবেদন তৈরি করে উভয় দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, কলকাতা উপ-হাইকমিশনের প্রথম সচিব শামছুল আরিফ ও নয়াদিল্লি হাইকমিশনের কাউন্সিলর শাহেদ আজিম।
বেনাপোল স্থলবন্দরের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার, ভারত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা, আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন, পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন উদ্দিন প্রমুখ।
নেতারা বেনাপোলে রেলের কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, বেনাপোলের ওপারে ভারতের বনগাঁও কালীতলা পার্কিংয়ে আমদানি পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ, বন্দরের নতুন করে জমি অধিগ্রহণ, পৃথক স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নির্মাণের জোর দবি করা হয়।