বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন ২৫৬০ জন, ১৮ জনের করোনা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত পথে ভারত থেকে এ পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন দুই হাজার ৫৬০ জন বাংলাদেশি যাত্রী। তাদের মধ্যে ১৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্তরা ভারতে গিয়ে করোনা সংক্রমণের শিকার হন। তাদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে রাখা হয়েছে। নতুন করে দুই দেশের সীমান্ত পথে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে আরও ১৪ দিন।
আজ যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইউছুফ আলী এ তথ্য জানান। গত শুক্রবার যশোর জেনারেল হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনে থাকা দুজনের দেহে ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
চিকিৎসা শেষে ভারত ফেরত অসহায় যাত্রীদের ভোগান্তি ও খরচ কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের করোনা প্রতিরোধ কমিটি। জটিল রোগে আক্রান্তদের হাসপাতালে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থাসহ যানবাহন ও হোটেল খরচ সাশ্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হোটেল ভাড়া অর্ধেক নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে হোটেল মালিকদের।
শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলীফ রেজা বলেন, ‘ভারতফেরত যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে দালাল শ্রেণির মানুষের দ্বারা হয়রানির শিকার না হয় এ জন্য বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের একাধিক জায়গায় সতর্কবার্তা দিয়ে ব্যানার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত যাত্রীদের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র পরীক্ষা করে হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা বিচিত্র মল্লিক বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত যাত্রীদের যশোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রেড জোনে ও সাধারণ যাত্রীদের যশোর, খুলনা, নড়াইল, ঝিনাইদহ ও সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল এবং জটিল রোগে আক্রান্তদের ১৪ দিন হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।’
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারতের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট রোধে বাংলাদেশ সরকার গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিনের ভ্রমণে সীমান্ত পথে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে নতুন করে কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রী দুদেশের মধ্যে যাতায়াত করেনি। নিষেধাজ্ঞার আগে যারা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আটকা পড়েছিল তারা ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরছেন।