বেনাপোল কাস্টমসে গোপন লকার ভেঙে চুরি : বরখাস্ত ৫
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের নিরাপদ গোপনীয় ভোল্ট ভেঙে গতকাল রোববার রাতে সোনা, ডলারসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে। চুরি উদঘাটনে পোর্ট থানাসহ র্যাব, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।
আজ সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় ভোল্টের দায়িত্বে থাকা সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাহাবুল সর্দার ও চার সিপাহীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন কাস্টমস কমিশনার।
কাস্টমস সূত্র জানায়, কাস্টমস হাউজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় গোপনীয় একটি কক্ষে রাখা লোহার ভোল্ট ভেঙে মূল্যবান বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, ডলার, টাকাসহ বিভিন্ন সামগ্রি চুরি করে। সেই কক্ষে ঢোকার আগে সংঘবদ্ধ চোরচক্র ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার সবগুলোর সংযোগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। সেখান থেকে মূল্যবান পণ্য সামগ্রী নিয়ে গেছে বলে কাস্টমস সূত্রটি দাবি করে।
ওই লকারে কাস্টমস, কাস্টমস শুল্ক গোয়েন্দা, বিজিবি ও পুলিশের উদ্ধারকৃত স্বর্ণ, ডলার বৈদেশিক মুদ্রা, কষ্টিপাথরসহ মূল্যবান দলিলাদি ছিল। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, কাস্টমস হাউসে সিসি ক্যামেরায় সুরক্ষিত একটি সংরক্ষিত এলাকায় কীভাবে এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিযেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘কাস্টমসের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কড়াকাড়ি, ভায়াগ্রা চক্রের অপতৎপরতা ও কাস্টমস কমিশনারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য একটি চক্র এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে।’
তবে যুগ্ম কমিশনার শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।