বেনাপোল কাস্টম হাউসের প্রবেশদ্বারে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম চালু
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যশোরের বেনাপোল কাস্টম হাউসের প্রবেশদ্বারে ফিঙ্গার প্রিন্ট সিস্টেম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার সকাল থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাস্টম হাউসে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস গেটের প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে দুটি ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন। একটি সিঅ্যান্ডএফ মালিকদের, অন্যটি কর্মচারীদের জন্য। যা স্পর্শ করে ভেতরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট কাস্টমসে এন্ট্রি করা আছে, শুধু তারাই প্রবেশ করতে পারছে। বেনাপোল কাস্টমস ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সির প্রায় ৮০০ মালিক ও প্রায় চার হাজার কর্মচারীর মধ্যে এক হাজার ৫৩০ জন এখন পর্যন্ত এন্ট্রি করতে পেরেছে। লকডাউনের কারণে বেনাপোলের বাইরে অবস্থানরতদের কেউ সশরীরে আসতে পারেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাকিরা এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে নিতে পারবে বলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে।
এদিকে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিনের ব্যবহার কতটা নিরাপদ, তথা যুক্তিসঙ্গত—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মেশিনের একই স্থানে বহু মানুষের হাতের ছোঁয়া করোনা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, কাস্টমস হাউসে ফিঙ্গার প্রিন্ট ব্যবস্থায় ব্যবসায়ীরা খুশি। এতে যেমন নিরাপত্তা জোরদার হবে, তেমনি অবৈধ কার্ডধারীদের প্রবেশের কোনো সুযোগ থাকবে না।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম জানান, যাদের ফিঙ্গার এন্ট্রি নেই তারা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এন্ট্রি ছাড়াও জরুরি কাজে ভেতরে যেতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কারও অনুমতি লাগবে। করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাস্টম হাউসে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।