বেক্সিমকোর ‘ইভেরা টুয়েলভ’ সেবনে সুস্থ ৫ পুলিশ, চিকিৎসাধীন ১০
ঢাকার দোহার থানায় করোনায়ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত মোট ৫৪ জন পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১২ জনকে রাখা হয় রাজধানীর কেন্দ্রীয় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে। এদের মধ্যে ছয়জনকে বেক্সিমকোর তৈরি ওষুধ ‘ইভেরা টুয়েলভ’ প্রতিদিন একবার করে সেবন করানো হয়। পাঁচ দিনের মাথায় তাঁরা ছয়জনই করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন।
১২ জনের মধ্যে বাকি ছয়জনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তবে তাঁদের ভেতরে পাঁচ দিনের মাথায় পাঁচ পুলিশ সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। বাকি একজন এখনো করোনায় আক্রান্ত। তিনি চিকিৎসাধীন। ওই ১২ জনের ওপর একটি ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। আজ থেকে দোহার থানার আরো ১০ পুলিশের ওপর ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে দোহারের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জসিম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ‘২৪ মে থেকে ১২ পুলিশ সদস্যকে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে রেখে বেক্সিমকোর তৈরি ইভেরা টুয়েলভ সেবন করানো হয়। পাঁচদিন পর তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাকি ছয়জনের পাঁচজনও নিয়মিত চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্ত একজন এখনো চিকিৎসাধীন। আজ থেকে দোহার থানার আরো ১০ জন পুলিশের উপর দ্বিতীয় দফার ট্রায়াল শুরু হয়েছে।’
মো. জসিম উদ্দিন আরো বলেন, ‘তবে এই ১০ জন প্রত্যেকেই তাঁদের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমিই এসব রোগীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মনিটরিং করছি। অবস্থা বুঝে তাঁদের সঙ্গে দেখা কিংবা কথা বলছি। দেখা যাক, এই ১০ জনের কী অবস্থা হয়। তবে এখনি বলছি না, ওষুধটা খুবই কার্যকরী। আরো বিশ্লেষণের ব্যাপার আছে।’
মো. জসিম উদ্দিন আরো বলছিলেন, পুলিশ হাসপাতালের রোগীদেরও ইভেরা টুয়েলভ ছয় মিলিগ্রাম এবং ডক্সিসাইকিলিন ১০০ মিলিগ্রাম মিশিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এক মাস ধরে ।’
তবে এই বিষয়টি জানতে চাইলে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসক মনোয়ার হাসনাত তা অস্বীকার করেন।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার থানার মোট ১১ জন পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া আরো ১০ জনকে নতুন করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’