‘বুলবুল’-এর দাপট কমায় কক্সবাজারে পর্যটক- উপকূলবাসী স্বস্তিতে
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে আতংকে থাকা কক্সবাজারের পর্যটক ও উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বিশেষ করে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আতংক বিরাজ করছিল। তবে তারা এখন স্বস্তিতে। চলমান বৈরী আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে আগামীকাল ফিরতে পারবে আটকে পড়া পর্যটকরা।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কক্সবাজার এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে অন্যান্য সমুদ্র বন্দরের মতো এখনো তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিক সামদ্রিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত উচ্চতা বৃদ্ধি পেতে পারে। একইসঙ্গে আগামী দুই থেকে তিন দিন কক্সবাজার ও দেশের উপকূলীয় এলাকায় হালকা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ‘বৈরী আবহাওয়ায় তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে এখনো জাহাজ চলাচল শুরু হয়নি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আগামীকালই সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবে।’
জেলা প্রশাসক ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. কামাল হোসেন আরো বলেন, “ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। সতর্ক ছিলাম সর্বোচ্চ। আল্লাহর অসীম রহমতে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ কক্সবাজারের কোথাও আঘাত না হানায় এবং এর বিরূপ প্রভাব না পড়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উখিয়া টেকনাফের ৩৪টি শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারাও সম্পূর্ণ নিরাপদে রয়েছে।”
‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুতিতে জেলার সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ, সংস্থা, সেনা, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আইএনজিও, এনজিও প্রস্তুত থাকায় সবাইকে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর আহমদ আজ দুপুরে বলেছেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। এজন্য সেন্টমার্টিনে প্রায় এক হাজার ২০০ পর্যটক আটকা পড়ে। বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাত্রী যাপনের জন্য থেকে যায়।’
জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে উল্লেখ করে চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘দুর্যোগ না কাটা পর্যন্ত তাদের পরিচ্ছন্নভাবে হয়রানিমুক্ত আতিথেয়তা দিতে হোটেল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। পরিষদের সবাই সর্বক্ষণ খোঁজখবর নিয়ে পর্যটকদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’