বীরত্বের পুরস্কার পেল নওগাঁয় ট্রেনযাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো শিক্ষার্থীরা
বুদ্ধিমত্তা, সাহসিকতা ও বীরত্বের পুরস্কার পেল নওগাঁর রাণীনগরে ট্রেনযাত্রীদের প্রাণ বাঁচানো শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হল রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাইম হোসেন (১৫), বড়বড়িয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির হিমেল হোসেন (১১), বিজয়কান্দি গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির অন্তর হালদার (১১), একই গ্রামের সপ্তম শ্রেণির বিপ্লব হালদার (১৪), পশ্চিম গোবিন্দপুর গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ইব্রাহিম প্রান্ত (১৩) একই গ্রামের রানীনগর শেরে বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী বাধন হোসেন (২১), রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারে ছাত্র আরিফ হোসেন (২১), নওগাঁ সরকারি কলেজের ছাত্র ইয়া রাকিব হোসেন (২১) ও কৃষক লোকমান হোসেন (৫১)।
এ সময় জেলা প্রশাসক মো. হারুন অর রশীদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক, নওগাঁ পৌরসভার মেয়র নজমুল হক সনি, রাণীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হেলাল, রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুনসহ বিভিন্ন জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সব উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রাণীনগর উপজেলার গোনা ইউনিয়নের বড়বড়িয়া এলাকায় রেললাইনের একটি অংশ ভেঙে যায়। যা ওই এলাকার একদল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা দেখতে পায়। তার একটু পরেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরগামী আন্তনগর একতা এক্সপ্রেস ট্রেন ঘটনাস্থল অতিক্রম করার সময় ছিল। এর আগেই তারা পরিহিত শার্ট, গামছা, গেঞ্জি যার কাছে যা ছিল সেটা বাঁশের কঞ্চিতে বেঁধে সংকেত দিয়ে ট্রেন থামায়। তাদের এই তাৎক্ষণিক বুদ্ধির কারণে ট্রেনে থাকা যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে প্রাণ বেঁচে যায়।
তাদের তাৎক্ষণিক এই বুদ্ধিমত্তার কারণে ট্রেনের শত শত যাত্রীর প্রাণে রক্ষা পাওয়ায় তাদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করে উৎসাহিত করা হয়।