বিয়ের সাত দিনের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বিয়ের সাত দিনের মাথায় এক তরুণীর (২২) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানা গেছে। এ ঘটনায় তাঁকে তালাক দিয়েছেন স্বামী।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন আহমেদ আকাশকে (২৬) দোষী করেছেন তরুণীর বাবা। তাঁর অভিযোগ, আকাশ দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে আসছিল এবং এ নিয়ে কাউকে কিছু না বলতে ভয়ভীতি দেখাত।
ওই তরুণীর বাবা জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে মেয়েকে পাশের উপজেলা উল্লাপাড়ার ঘোনাগাইনজালী গ্রামে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের এক সপ্তাহ পর মেয়ে অসুস্থ হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সিরাজগঞ্জ রোডে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাফির পরে চিকিৎসক জানান, তাঁর মেয়ে সাত মাসের গর্ভবতী হওয়ায় অসুস্থ হয়েছে। তাৎক্ষণিক মেয়ের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে তালাক দিয়ে দেয়।
রিপন আহমেদ আকাশের বাড়ি নওগাঁ ইউনিয়নের চৌপাকিয়া গ্রামে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটি ধামাচাপা দিতে আকাশের পরিবার নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানান ওই তরুণীর বাবা।
ভুক্তভোগী তরুণীর দাবি, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা আকাশকে জানালে গর্ভের সন্তান ও তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তাই ভয়ে কাউকে কিছুই জানাননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে আকাশের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। তা ছাড়া আকাশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।
উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহমেদ মাসুম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রিপন আহমেদ আকাশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা কেউ আমাদের জানায়নি। এ ধরনের অভিযোগ পেলে আকাশের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এর উপযুক্ত বিচার করা হবে।’
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’