বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় একজন রিমান্ডে
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং গুজাদিয়া পুরাতন বাজারের ইলেক্ট্রনিক ব্যবসায়ী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি শাহাবুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ৬ নম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আশিকুর রহমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফখরুল হাসান ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন বিবাহিত এবং তিন সন্তানের জনক। ওই নারী অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনের মামাতো বোন। বিয়ের প্রলোভনে শাহাবুদ্দিন গত ১ অক্টোবর সকালে তাঁকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে ঘুরতে নিয়ে যান। পরে রাতে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পেছনের কক্ষে নিয়ে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন শাহাবুদ্দিন। এভাবে দুদিন আটকে রেখে একইভাবে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ৪ অক্টোবর একটি ইজিবাইকে করে তাঁকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
বাড়িতে ফিরে মেয়েটি অসংলগ্ন আচরণ করলে পরিবারের লোকজনের জেরার মুখে ঘটনা স্বীকার করে বিবরণ দেন। এতে এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। গত ৬ অক্টোবর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দোকানে গিয়ে শাহাবুদ্দিনকে আটকে রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে।
ওই দিন রাতেই ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে শাহাবুদ্দিনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।