বিপুল নকল প্রসাধনী জব্দ, মালিক আটক
নেত্রকোনায় নকল পণ্য তৈরির কারখানায় অভিযান যৌথ চালিয়েছে এনএসআই, র্যাব ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে একটি কারখানা থেকে ৫৫ ধরনের বিপুল নকল প্রসাধনী ও তৈরির সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরুর রহমান জাহিদকে (৪২) আটক করা হয়।
জাহিদ নেত্রকোনা শহরের নাগড়া এলাকার বাসিন্দা এবং শহরের পুরোনো বিদ্যাপীঠ দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হামিদুর রহমান খানের ছেলে। রহিমা সোয়েটার ফ্যাক্টরির আড়ালে ওই নকল প্রসাধনী কারখানা চালাতেন তিনি।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের অদূরে রাজেন্দ্রপুরের বিসিক শিল্প নগরীর ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে এসব প্রসাধন সামগ্রী জব্দ করা হয়।
নেত্রকোনা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. এরশাদুল আহমদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নারায়ণ চন্দ্র, এনএসআইয়ের উপপরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান ও র্যাব ১৪-এর কমান্ডার এস এম শোভন খান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
এ ব্যপারে এনএসআইয়ের উপপরিচালক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘এনএসআইয়ের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়। তারা নকল ফগ নামীয় বডি স্প্রেসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির সিল মারা কৌটায় সেন্ট, ক্রিম মেহেদী, হ্যান্ড সেনিটাইজার, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলিসহ স্প্রে, নামিদামি আতর, নেহা মেহেদি, সুন্দরী ক্রিম, কাশ্মিরি মেহেদি, অলিভ অয়েল, ভিকি আতর, কাশ্মিরি পেট্রোলিয়াম জেলি, মাজুনি, রং ফর্সাকারি ক্রিমসহ অনুমোদনহীন প্রায় ৫৫টি প্রসাধন সামগ্রী তৈরি করতেন।’
এনএসআইয় কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এ সময় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিককের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কারখানা ও গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার প্রসাধন সামগ্রী ছিল, যার সবই ধ্বংস করা হয়েছে।’
এর আগে শহরের পাটপট্টি এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে নকল প্রসাধনী তৈরি করতেন। গত বছর ওই কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে মালামাল জব্দ ও জরিমানা করেছিলেন।