বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘বিচার বিলম্বিত হলে অবিচার কায়েম হয়। আমাদের দেশ থেকে সবাই মিলে এটি দূর করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নৈশভোজ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমার বাবা ও মামা সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ছিলেন বলে আমি গর্ববোধ করি। আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি ও আমার ভাই যেন আইনজীবী হই; কিন্তু আমি সরকারি চাকরি পাওয়ার কারণে আইনে ডিগ্রি অর্জন করলেও আইনজীবী হয়ে উঠিনি।’
আগামী সময়টা আমাদের স্বর্ণযুগ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ‘আগামী বছর মুজিববর্ষ এবং তারপর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি করবে বাংলাদেশ। আমরা সবাই মিলে সময়টাকে আরো উজ্জ্বল করে তুলব।’ মেধা ও পরিপক্বতা দিয়ে এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির অনুষ্ঠানে বক্তাদের ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটি নির্মাণে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন বলে আশাবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জামিলুল হক জামিল। সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট শংকর লাল দাস ও জোহরা জেসমিন।
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির ঐতিহ্য ও ইতিহাসের প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিলেটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, সিলেটের মহানগর দায়রা জজ মো. আবদুর রহিম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ও সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য অ্যাডভোকেট এ এফ এম রুহুল আনাম চৌধুরী (মিন্টু) ও সিলেটের সরকারি কৌঁসুলি খাদেমুল মিল্লাত অ্যাডভোকেট মো. জালাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আহমদ।
এ বছর সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্যে আইনপেশায় ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া ২৭ আইনজীবী পঙ্কজ কুমার দাস, আতাউর রহমান, দীপর কান্তি দাস পুরকায়স্থ, আক্তার উদ্দিন আহমদ টিটু, বনানী দাস ইভা, মো. আনোয়ার হোসেন, শাহ ফরিদ আহমদ, সুরজিত ভট্টাচার্য, আবু ইউসুফ মো. নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন আহমদ, সাধন চন্দ্র পাল, মো. নজরুল ইসলাম, মো. সাকী আহমদ, মোর্তুজা আহমদ চৌধুরী, ফয়জুর রহমান চৌধুরী শাহীন, সৈয়দ নুরুল ইসলাম, আব্দুল হাই কাইয়ুম, শাহ আশরাফুল ইসলাম (আশরাফ), মো. লুৎফুল মজিদ চৌধুরী, মো. কামরুজ্জামান, গোপাল চন্দ্র পাল, মো. মাসুক উদ্দিন (শফিক), মো. আব্দুস ছালাম চৌধুরী, মো. সফিকুর রহমান, মো. মামুনুর রশিদ চৌধুরী (মামুন), সৈয়দ মহসিন আহমদ ও মুহিবুর রহমান সেলিম অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথির কাছ থেকে শ্রদ্ধা স্মারক ও সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।
এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত সমিতির সদস্যদের ৩৬ মেধাবী সন্তানকে এককালীন বৃত্তি ও সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। সমিতির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।
অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা ছাড়াও সিলেট জজ শিপের বিচারক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।