বিচার চাইতে গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
বিচারপ্রার্থী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মামলার বিবরণে জানা গেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ সদর থানায় মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ১৪ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনায় ওই গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর স্বামীর কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি সুরাহার জন্য ওইদিন সন্ধ্যায় ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদেরের কাছে যান। এরপর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওই গৃহবধূ তাঁর স্বামীর বাড়িতে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় যেতে চাইলে চেয়ারম্যান তাঁকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। ওই রাতে চেয়ারম্যানের স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিলেন। এ সুযোগে তিনি ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন ওই গৃহবধূ।
পরে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ওই নারীকে স্বামীসহ থাকার ব্যবস্থা, গুচ্ছগ্রামে বাড়ি ও কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখান। পরের দিন তাঁকে ৫০০ টাকা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
এদিকে, অভিযোগের ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের বলেন, ‘ওই নারী আমার বাসায় কাজের জন্য এসেছিলেন। কয়েকদিন কাজ করে ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর ওই নারীকে পুলিশ ধরে এনে আমার বাড়িতে রেখে যায়। পরে ওই নারীর দেবর তাঁকে নিয়ে যান। প্রতিপক্ষের লোকজনের কথায় ৪৫ হাজার টাকা না দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে ওই নারী মিথ্যা মামলা করেছেন।’
অপরদিকে, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।