বিএসএমএমইউ খালেদা জিয়ার অন্য রিপোর্ট দেওয়ার চক্রান্ত করছে : মির্জা ফখরুল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ খালেদা জিয়ার আসল মেডিকেল রিপোর্ট সরিয়ে অন্য রিপোর্ট দেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে খালেদা জিয়ার জামিনকে বাধাগ্রস্ত করছে আর জোর খাটিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে শক্তি প্রয়োগ করছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে গোলটেবিল বৈঠক ও আলোচনার আয়োজন করে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ প্রায় ১৫টি দেশের কূটনীতিক ছাড়াও শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরাও এতে অংশ নেন।
আলোচনায় বক্তাদের অনেকেই দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই বললেই চলে। গত ১০ বছরে রাজনৈতিক কারণে মামলা, হামলা আর গুমের শিকার হয়েছেন অনেক মানুষ। শুধু ভিন্নমত, ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তার কারণে প্রায় ৩৫ লাখ মানুষকে মামলার আসামি করা হয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক মামলা।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন দেওয়া হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে যে রিপোর্টটি দিয়েছিল, সেই রিপোর্টটিকে সরিয়ে অন্য কোনো রিপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক যে সূচকগুলো রয়েছে, তার কোনোটিই এখন দেশে বিদ্যমান নেই। প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রশাসন ও বিচার বিভাগে চলছে সরকারি হস্তক্ষেপ।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যেখানে জবাবদিহি থাকবে না, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে। এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত করেই কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, সব পেশার মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।