বিএনপি সরকার ড্রাইভারদের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি : তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি সরকার ড্রাইভারদের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি। তারা আগুনে পুড়িয়ে ড্রাইভারদের হত্যা করেছে।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত গাড়িচালক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী মটর চালক লীগের সহসভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লার স্মরণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শাহজাহান মোল্লা রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৮ জানুয়ারি ইন্তেকাল করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করেছিল। আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায়ের নামে নিরীহ ড্রাইভারদের জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে। তারা সে সময়ে শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মেরেছে। ঘুমন্ত ট্রাক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মেরেছে। তারা আসলে ড্রাইভারদের কোনো কল্যাণ করে নাই বরং তাদের হত্যা করেছে।
করোনার লক্ষণ দেখা দিলে সবাইকে দ্রুত পরীক্ষা করানোর আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শাহজাহান মোল্লা প্রথমে বুঝতে পারেননি যে, তাঁর করোনা হয়েছে। সে কারণেই তাঁর অকাল মৃত্যু হয়েছে। তাই আমি সবাইকে অনুরোধ করব, করোনার লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়া উচিত। ডাক্তারদের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। দেরি হয়ে গেলে সমস্যা হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ড্রাইভারদের একটানা আট ঘণ্টার বেশি গাড়ি না চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একজন চালককে দিয়ে আট ঘণ্টার বেশি ডিউটি করাবেন না। লম্বা ডিউটি করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ড্রাইভারদেরও তো বিশ্রামের প্রয়োজন আছে।’
শাহজাহান মোল্লার স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যখন আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে ছিল তখন শাহজাহান মোল্লা নেত্রীর গাড়ি চালিয়েছেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁরা নেত্রীকে নিয়ে গেছেন। বিভিন্ন স্থানে হামলার আশঙ্কা ছিল, তখনও যারা গাড়ি চালিয়েছেন, তার মধ্যে শাহজাহান মোল্লা একজন। তাঁর গাড়িতে আমি অনেক বার উঠেছি। কারণ আমি তখন নেত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলাম। তাঁরা তখন অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে গাড়ি চালিয়েছেন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শাহজাহান মোল্লাকে অনেক স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যার সঙ্গে যারা কাজ করেন তাদের তিনি পরিবারের সদস্যদের মতোই আদর করেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যারা থাকেন বা কাজ করেন তারা প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকেন। অতীতে অনেকে জীবনও দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষকে আপন করে নিতে পারেন, অন্য কেউ তা পারেন না। এখানেই অন্য নেত্রীর সঙ্গে তাঁর পার্থক্য। অনেক ক্ষেত্রে তিনি সাহেব সুলভ মানুষের থেকেও একজন ড্রাইভারকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শাহজাহান মোল্লার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বাংলাদেশ মটর চালক লীগের সভাপতি আলী হোসেনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ বক্তব্য দেন।