আসছে সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন ‘ফখরুল সাহেব কি করবেন, ইলেকশন তো আসছে। যতই মুখে বলেন, বস্তবতা তো আমরা বুঝি। বিশাল একটা মনোনয়ন বাণিজ্য আছে। এ লোভ আপনারা সামলাতে পারবেন না।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাবি ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘পিতার শোক, কন্যার শক্তি : বাংলার অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘কষ্ট প্রকাশ করে কী করবেন? শেখ হাসিনাকে আল্লাহ ক্ষমতা দিয়েছেন। তিনি ভাগ্যবতী। আল্লাহ এই দেশে একজনকে সৃষ্টি করেছেন স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে সৃষ্টি করেছেন মুক্তির জন্য। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মুক্তির লড়াইয়ের আপসহীন কাণ্ডারি শেখ হাসিনা।’

বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আমরা দোষী না, আমরা অপরাধীও না। আমাদের আর্থিক সংকটের বৈশ্বিক পরিস্থিতির মূল্য দিতে হচ্ছে। শেখ হাসিনাকে মূল্য দিতে হচ্ছে। রাত জেগে জেগে দেশের মানুষের কথা ভাবতে হচ্ছে। ধৈর্যহারা হবেন না কেউ, ইনশা আল্লাহ এই দিন থাকবে না।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বোঝেন। সরকার প্রধান হয়ে তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন—মানুষ কষ্ট করছে। এই কষ্ট লাঘবে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কষ্ট সাময়িক, এই দুর্দিন চলে যাবে। সুদিন আবার আসবে।’

সেতুমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিনের প্রসঙ্গে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জন্মদিন কয়টা? দুই দিন আগে দেখলাম, বেগম জিয়ার জন্মদিবসে এবার কেক কাটা হচ্ছে না। ১৫ তারিখে কেক কাটা হয়নি। কিন্তু ১৬ তারিখে দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। বেগম জিয়া অসুস্থ, দোয়া মাহফিলে আমাদের আপত্তি থাকার কথা না। কিন্তু, দোয়া মাহফিলের উপলক্ষ কী? উপলক্ষ খালেদা জিয়ার জন্মদিন। এখনও ভুয়া জন্মদিন পালন করা হচ্ছে। একটা মানুষের কয়টা জন্মদিন? এ পর্যন্ত সর্বশেষ করোনা টেস্টে ষষ্ঠ জন্মদিবস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে এ তামাশার নাটক আর কতদিন করবেন তিনি?’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই দেশে আন্দলনে জিতলে নির্বাচনেও জিতা যায়। ষড়যন্ত্র করে কাউকে হত্যা করতে পারলে ক্ষমতা পাওয়া যায় না। দেখতে দেখতে ১৩ বছর। দিন যায়, সপ্তাহ যায়, মাস যায়, পদ্মা-মেঘনা নদীতে কত পানি গড়িয়ে যায়। কিন্তু, ফখরুল সাহেবদের আকাঙ্ক্ষিত আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা তো গেল না।  আন্দোলনের সোনার হরিণ দেখা না দিলে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসন কোনো দিনও দেখা দেবে না ।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।