বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কারণ নেই : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বিএনপির রাজনীতি ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে।’
আজ মঙ্গলবার খুলনা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হারুন অর রশিদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি এখন পথ হারানো পথিকের মত দিশেহারা। একে একে উইকেটের পতন হচ্ছে। আরও উইকেট পড়ে পড়ে ভাব। ফখরুল ইসলাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বলেন, আমি শুধু হাসি আঁখি জলে ভাসি। শুধু বলতে চাই পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ, ভুলে কি গেছে মানুষ। ফখরুলের মুখে দুর্নীতির কথা, ভুতের মুখে রাম রাম ধ্বনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপির অপর নাম এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টি। প্রেসব্রিফিং আর নালিশ ছাড়া তাদের কোনো অবলম্বন নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেখতে দেখতে ১১ বছর, আন্দোলন হবে কোন বছর।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা নিজেরা ঠিক থাকব, ঐক্যবদ্ধ থাকব। বাংলাদেশের জনগণ দুর্নীতিবাজ, খুনি, সন্ত্রাসী বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দেবে না। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে এই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ক্ষমতায় আসতে দেবে না।’
‘নেতা যত বাড়ছে, কর্মী তত কমছে’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দল ক্ষমতায়। মঞ্চ যত বাড়ছে নেতা তত বাড়ছে। নেতা যত বাড়ছে, কর্মী তত কমছে। এখন আর পোস্টার লাগানোর জন্য কর্মী পাওয়া যায় না। সবার ইজ্জতে লাগে। ব্যানার লাগানোর জন্য কর্মী পাওয়া যায় না। টোকাই দিয়ে ভাড়া করে লোক এনে পোস্টার লাগাতে হয়। কর্মীরা এখন নেতা, কে লাগাবে পোস্টার। কত বিলবোর্ড! সামনে দেখি এক চেহারা, বিলবোর্ডে দেখি আরেক চেহারা।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছবি দিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। নেতা হতে হলে নেতৃত্বের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। কর্মীদের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। কর্মীদের কোণঠাসা করে কমিটি করতে গিয়ে স্বজন দিয়ে পকেট কমিটি করে নেতা হওয়া যাবেনা। ঘরের মধ্যে ঘর করবেন না, মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না।’
সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক প্রমুখ ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগে সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এবং সুজিত কুমার অধিকারী সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এমডি বাবুল রানা।