বাহরাইনে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাব্বি নিহত
কে. এম. রুহুল রাব্বি (৪৮)। বেকারত্ব দূর করতে আর পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পাড়ি জমান বাহরাইনে। কয়েক বছর সেখানে ভালোই কাটছিল জীবন। যে টাকাপয়সা রোজগার হতো বেশ পাঠিয়ে দিতেন পরিবারের কাছে।
গতকাল শনিবার বাহরাইনের স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে জাল্লাক বিচ থেকে ঈদে ঘোরাঘুরি শেষে রাজধানী মানামায় ফিরছিলেন রাব্বিরা। পথে বাহরাইন ইউনিভার্সিটির কাছে তাদের প্রাইভেটকারের সঙ্গে আরেকটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাব্বি, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মো. সুজন মাতবরসহ (৩০) তিন বাংলাদেশি নিহত হয়।
রাব্বির বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের মান্দারপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত রকিব উদ্দিনের ছেলে। রাব্বির মৃত্যুর খবর শোনার পর পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পারিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বির বাবা-মা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে রাব্বি দ্বিতীয়। পরিবারকে স্বচ্ছল করতে ২০১৭ সালে বাহরাইনে পাড়ি জমান রাব্বি। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজারের চাকরি করতেন। এ বছরের শেষ দিকে তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিলো।
রাব্বির মরদেহ দ্রুত দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তাঁর স্বজনরা। রাব্বির ভাগ্নে আরাফাত হোসেন জানান, রোববার ভোরে বাহরাইন থেকে তাঁর মেজ মামা মাসুদ খন্দকার ফোন করে তাঁর মাকে দুর্ঘটনার খবরটি জানান। মামা ঈদের ছুটিতে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে সমুদ্রপাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ তিনজন মারা যান।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ-উল আলম জানান, নিহতের বাড়িতে যোগাযোগ করা হয়েছে। মরদেহ আনা থেকে শুরু করে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হয় সেটা করা হবে।