বাস খাদে পড়ে দুজন নিহত, উদ্ধারে গিয়ে আরো একজনের মৃত্যু
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এ সময় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার খেজুরতলা এলাকার শরীয়তপুর-ডামুড্যা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে পাঠিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) মো. মোহাইমিনুল ইসলাম এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও জীবন বীমা করপোরেশনের শরীয়তপুরের ইনচার্জ কামরুজ্জামান মাহমুদ মুন্সী (৪৫), দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ইয়াকুব পাইক (৮০) ও ডামুড্যা পৌরসভার কুলকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা জুলহাস মোল্যা (২৮)।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন খোকন হাওলাদার (৫০), নুরুল ইসলাম (৫০), নিপা কর্মকার (২৮), মমতা বেগম (৩৮), গোবিন্দ (৪৫), মনির হোসেন (২৬), রোকেয়া (২৮), আয়েশা বেগম (২৫), আবদুল হালিম (৫২), শফিকুল ইসলাম (৬২), খোরশেদ খান (৩৫), ফজলুল করীম শেখ (৪৭), আবদুর রশিদ মাদবর (৬০), মাইনুদ্দিন মাদবর (৬০), নিপা (১৮) ও রফিক সরদার (৫৫)। আহত অন্যদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ডামুড্যা থানা পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে ডামুড্যা থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস শরীয়তপুর সদরের উদ্দেশে রওনা দেয়। এ সময় খেজুরতলা এলাকার শরীয়তপুর-ডামুড্যা সড়কে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বাসের যাত্রী কামরুজ্জামান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ইয়াকুব পাইক। এর মধ্যে দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় জুলহাস মোল্যার।