বালু নদে ডুবে শিশুর মৃত্যু, বৃদ্ধ নিখোঁজ
গাজীপুরে বালু নদে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু এবং তুরাগ নদীতে এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। মৃত শিশুর নাম শিখা রানি বর্মণ (৮)। সে দিনাজপুরের কাহারোল থানার নিমাইল গ্রামের সুবল বর্মণের মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জিএমপির কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদ হোসেন জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাইমাইল এলাকার সপরিবারে ভাড়া থেকে সুবল বর্মণ রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানি ও খালাতো ভাইবোনের সঙ্গে বাসার পাশে বালু নদের তীরে শাক তুলতে যায় শিশু শিখা। অপর এক শিশুর সঙ্গে মাছ ধরা দেখতে ওই নদের তীর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল শিখা। এ সময় পা পিছলে প্রায় ২৫ ফুট গভীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার খালাতো ভাই সনজিত বর্মণও (২০) পানিতে তলিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় সনজিতকে উদ্ধার করতে পারলেও শিখার সন্ধান পায়নি। সনজিতকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে শিখার লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে, একই দিন বাড়ি ফেরার পথে সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার সময় তুরাগ নদীতে ডুবে এক বৃদ্ধ নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁর নাম মতিউর রহমান (৭০)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার সূত্রাপুর ইউনিয়নের টেকিবাড়ি চাঁনপুর এলাকার বাসিন্দা।
স্বজনদের বরাত দিয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার কবিরুল আলম জানান, আজ সকালে বাড়ির পাশের তুরাগ নদীর অপর তীরে জমি পরিচর্যা করতে যান কৃষক মতিউর। বেলা ১১টার দিকে আড়াআড়ি পথে বাড়ি আসার জন্য রওনা হন তিনি। পথে সাঁতরিয়ে তুরাগ নদী পার হওয়ার সময় তিনি পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হন। স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পায়নি।
খবর পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়েও তাঁর খোঁজ পায়নি। অন্ধকার হওয়ায় তারা সন্ধ্যায় অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে যায়। আগামীকাল বুধবার সকালে আবার অভিযান শুরুর কথা রয়েছে।