‘বাবা শহরটাকে খুব ভালোবাসেন’
মঞ্চটা বেশ সাধারণ। একজনেরই কথা বলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে একজনই শুনিয়েছেন ঢাকা উত্তর নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা। তিনি আতিকুল ইসলাম। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর ইশতেহার ঘোষণার দিন দর্শকদের মধ্যে ছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের একটি চমক ছিল। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রার্থী আতিকুল ইসলামকে আগে মঞ্চে ডাকেননি। তিনি ডেকেছেন আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরীনকে।
বুশরা কথা বলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। বাবাকে নিয়ে বলার সময় আবেগে কাঁপছিল তাঁর গলা। বুশলা বলেন, ‘আমার বাবা আমাকে খুব ভালোবাসেন। ঠিক তেমনি তিনি এই শহরটাকেও খুব ভালোবাসেন।’ দর্শকসারিতে বসা ছিলেন আতিকুল ইসলাম। এক দৃষ্টিতে তিনি মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।
পাঁচ মিনিটের ছোট্ট বক্তব্য বুশরা শেষ করেন ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে। ওই সময় মঞ্চে ছুটে যান আতিকুল ইসলাম। মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। যেন নতুন করে শক্তি অর্জন করলেন। মেয়ের প্রশংসায় বাবা যেন নতুন উদ্দীপনায় কাজ করার প্রেরণা পেলেন।
‘সবাই মিলে সবার ঢাকা, সুস্থ, সচল আধুনিক ঢাকা’ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আতিকুল ইসলাম। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাবা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বুশরা বলেন, ‘বিগত নয় মাস তিনি এই শহরের জন্য কাজ করেছেন। তাই বাবাকে নিজেদের কাছে কমই পেয়েছি। বাবা আগে এই শহরকেই প্রাধান্য দেন। তিনি আমাকে অনেক ভালোবাসেন। তবুও আমাদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন না। কারণ তিনি আমার মতো এই শহরটাকেও ভালোবাসেন। তিনি অনেক সৎ। আসলেই তিনি একজন ভালো মানুষ।’
বুশরা আরো বলেন, ‘নগরের মানুষও তাঁকে ভালোবাসে। নৌকায় ভোট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘আমার বাবা সৎ, ব্যক্তিত্ববান, জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। তিনি মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন। তাঁর কাছে কোনো কাজই অসম্ভব না। কখনো বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলছেন আবার কখনো গান গাইছেন; বাবা আসলে এমনই। আমার বাবাকে নিয়ে আমি গর্বিত। বাবার কাছে তাঁর কাজটাই আগে।’
বুশরা বলেন, ‘কিছুদিন আগে ছোট্ট ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমার আকদ হয়েছে। বাবা সেই অনুষ্ঠানে সময় দিতে পারেননি। তিনি শহরেরই একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। বাবার কাছে তাঁর কর্তব্য আগে। তাই আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় বাবার জন্য ভোট চাই।’