বাবার কবরের পাশে চিরঘুমে সাংবাদিক রাশীদ উন নবী বাবু
দেশের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এ কে এম রাশীদ উন নবী বাবুর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে বগুড়া সদরের ঠনঠনিয়ার ভাই পাগলা মাজার কবরস্থানে বাবার কবরের পাশেই রাশীদ উন নবী বাবুকে দাফন করা হয়েছে।
রাতে রাশীদ উন নবী বাবুর বোন মনিরা আখতার এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বগুড়া সদরের মালতী নগর এনএস ক্লাব ঈদগাহ মাঠে দুপুর আড়াইটার দিকে রাশীদ উন নবী বাবু ভাইয়ের জানাজা পড়ানো হয়। বিকেল ৩টার দিকে দাফন সম্পন্ন করা হয়।’
গতকাল বুধবার রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশীদ উন নবী বাবু মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন।
মনিরা আখতার বলেন, ‘বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমরা রাজধানীর পান্থপথের বিআরবি হাসপাতাল থেকে বগুড়া সদরের বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হই। তারপর সব অনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বিকেলে আমার ভাইয়ের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বাবা হারিছ উদ্দিন সরকারের কবরের পাশেই তাঁকে শায়িত করা হয়েছে। আপনারা সবাই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
রাশীদ উন নবী বাবু জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জ্যেষ্ঠ সদস্য ছিলেন। তিনি ৪৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক আমার দেশ, দৈনিক বাংলা, বাংলার বাণী, দেশবাংলা, আজকের কাগজ, ইত্তেফাক, সমকাল, যুগান্তর, এনটিভি, চ্যানেল ওয়ান, ইনকিলাব ও সাপ্তাহিক পূর্নিমায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দৈনিক সকালের খবরের সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ তিনি প্রকাশিতব্য দৈনিক আমার দিন পত্রিকায় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৯ সালের এপ্রিলে রাশীদ উন নবী বাবুর অগ্নাশয়ে ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে তিনি ভারতের ভোলোরের ক্রিশ্চিয়ান মিশনারি হাসপাতাল (সিএমসি) এবং মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।