আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘করোনা মোকাবিলায় সরকারের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। সরকারের আন্তরিকতা, চেষ্টা বা সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই। সব ধরনের ঘাটতি সরকার পূরণ করার চেষ্টা করছে। করোনা নিয়ে দুনিয়াব্যাপী যে সংকট, তা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই লাখের মতো করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। কাজটা খুবই দুরূহ ও কঠিন চ্যালেঞ্জের। শেখ হাসিনার মতো সাহসী কাণ্ডারি আমাদের সঙ্গে আছেন, প্রথম তরঙ্গ মোকাবিলায় তিনি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। জীবনের সঙ্গে জীবিকার সমন্বয় করে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। আজও নেত্রীর ওপর আমাদের ও দেশের জনগণের আস্থা রয়েছে।’

আজ শনিবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর সরকার দিবস উপলক্ষে ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘সরকারের সামনে দুই চ্যালেঞ্জ’

বর্তমানে সরকারের সামনে দুটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি হচ্ছে দ্বিতীয় তরঙ্গরূপে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশে যে আঘাত হেনেছে, সেটাকে প্রতিরোধ ও পরাজিত করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি আছি। তা মোকাবিলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শক্তিকে সংহত করতে হবে।’

‘দ্বিতীয়ত মুজিবনগর সরকার তথা স্বাধীনতার চেতনার শত্রু সাম্প্রদায়িকতাকে রুখতে হবে, প্রতিহত ও পরাজিত করতে হবে। মূলত এই দুটি চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকে প্রতিহত করব এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকেও পরাজিত করব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ মুজিবনগর সরকারেরও ৫০ বছর পূর্তি। যদিও করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের কারণে আমরা এই দিনটি সেভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারছি না। মুজিবনগরেও আমাদের একটা দল শ্রদ্ধা জানাবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।

পরে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।