বাঁশখালীর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি জাফরুল্লাহ চৌধুরীর
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে পুলিশের সংঘর্ষে সাতজনের মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি নিহত শ্রমিকদের জনপ্রতি ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন।
আজ রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহত শ্রমিকদের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন দাবি জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
দুপুর আড়াইটার দিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সঙ্গীদের নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর গেট এলাকায় পৌঁছলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিফ কো-অর্ডিনেটর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা কোম্পানির পক্ষ থেকে তুলে ধরেন। পরে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যান সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মাদ্রাসাছাত্র মো. মাহমুদ রেজা মিনহানের বাড়িতে। তিনি সেখানে মিনহানের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর জবানবন্দি নেন।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি সরকার যেভাবে মানুষের মুখ বন্ধ করে রাখতে চায় ঠিক সেভাবে পুলিশের মুখও বন্ধ করে রেখেছে। তাদের এখানে যথেষ্ট ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি দেশীয় শ্রমিকরা পুলিশের গুলিতে নিহত হলেও অন্য শ্রমিকরা চাইনিজ শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সচেষ্ট ছিল। যার ফলে পুলিশের গুলিতে সাতজন নিহত হলেও নিরাপদে ছিল বিদেশে শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিদেশি শ্রমিকদের নিরাপত্তার বলয় তৈরি করা, এটি অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। শ্রমিকরা দাবি-দাওয়া পেশ করেছে। আর এতেই পুলিশ গুলি করে শ্রমিকদের মেরেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা আমাদের জানিয়েছেন। আমরা আরও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে ঢাকায় গণমাধ্যমকে আমাদের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য তুলে ধরব।
এ সময় প্রতিনিধিদলের মধ্যে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, মুক্তিযোদ্বা নঈম জাহাঙ্গীর ও ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান উপস্থিত ছিলেন।