বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে লক্ষ্য ছিল নব্য পাকিস্তান সৃষ্টি : আমু
বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করে নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ভিড় এড়াতে দুপুরে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ।
পরে আমির হোসেন আমু বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পেছনে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে অপশক্তি হত্যা করতে কুণ্ঠাবোধ করেনি, তারা জানত বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা স্বাধীন বাংলাদেশকে শেষ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়েই সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হত্যা করা এবং একটি নব্য পাকিস্তান সৃষ্টি করার জন্য এ হত্যাকাণ্ড।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এই দেশ স্বাধীন হতো না। ইতিহাসের সেই মহামানব বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের নেতা বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু যখন বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সব কিছুতে স্বাভাবিক করেছিলেন, সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্ব নেতা, যেখানে গেছেন সেখানেই বঙ্গবন্ধুকে সমাদৃত করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর দুইটা স্বপ্ন ছিল, একটা স্বাধীনতা আরেকটা সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলা। একটা তিনি করে গেছেন। আরেকটা তিনি করে যেতে পারেন নাই। সেই কাজটি সমাপ্ত করার পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যার হাতে ১৯৮১ সালে আমরা আওয়ামী লীগের পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। তিনি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার পথে এগিয়ে চলেছেন।