বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সিংহ ও ভালুক পরিবারে অতিথি
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো ভালুক শাবকের জন্ম হয়েছে। এ ছাড়া সিংহের পরিবারেও এসেছে নতুন অতিথি। প্রথমবারের মতো নতুন শাবক জন্ম নেওয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভালুক ঘিরে নতুন সম্ভাবনা দেখছে।
পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, গত শনিবার কোর সাফারির আফ্রিকান সাফারি পার্কের ভালুকের বেষ্টনীর গর্তের ভেতর বাচ্চার শব্দ শোনা যায়। পরে দেখা যায়, গর্তের মধ্যে একটি মা ভালুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে। এরপর থেকেই পার্কের কর্মকর্তারা গর্তের মধ্যেই মা ভালুককে খাবার দিচ্ছেন। মা ভালুকেরা বাচ্চার প্রতি খুব বেশি সতর্ক থাকে ও হিংস্রতা দেখায়।
তাই গর্তের ভেতর অবস্থান করা ভালুকের কয়টি বাচ্চা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাছাড়া তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাছে যাওয়া হয়নি। কয়েকদিনের মধ্যেই বাচ্চার সংখ্যা জানতে চেষ্টা করা হবে। ভালুকেরা সাধারণত একসঙ্গে এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। ভালুকের পালে প্রথমবারের মতো বাচ্চার জন্ম হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছেন এই বন কর্মকর্তা।
তবিবুর রহমান আরো বলেন, সিংহ পরিবারেও নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সিংহের বেষ্টনীতে মা সিংহকে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। সিংহ শাবকের জন্মের সময় সাধারণত চোখ ফুটে না। এদের চোখ ফুটতে তিন থেকে ১১দিন সময় লাগে। নতুন জন্ম নেওয়া শাবকটির চোখ ফোটে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে শাবকটির বয়স অন্তত ১৫ দিন হবে। জন্মের সময় এদের ওজন এক থেকে পাঁচ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় সিংহ শাবককে জঙ্গলের আড়ালে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে এবং সেখানে অন্য সঙ্গীদের পর্যন্ত যেতে দেয় না। শাবকরা ১০-১৫ দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশপাশি অন্য খাবার খাওয়ানো শেখানো হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে। এদের প্রধান খাদ্য গোমাংস এবং প্রতি শুক্রবার জীবিত খরগোশ দেওয়া হয়।
সদ্য জন্ম নেওয়া ভালুক ও সিংহশাবকগুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলে জানান সাফারি পার্কের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে পার্কে সিংহের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টিতে। তবে নতুন শাবকটি পুরুষ না মাদী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত সাফারি পার্কে ১১টি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে। তবে বিভিন্ন ধাপে এ পার্ক থেকে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় চারটি সিংহ সরবরাহ করা হয়েছে।