বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, রোববার সারা দেশে মিছিল
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ‘যারা রাতের অন্ধকারে চোরের মতো জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙেছে, দিনের আলোয় পারলে তারা সামনে আসেন। যদি সত্যিই আপনাদের এত ইমানি শক্তি থাকে।’
এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘মামুনুল হক ও যারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, জাতির পিতার উপহার দেওয়া বাংলাদেশকে নিয়ে যদি আপনারা কোনো অরাজকতা করার চেষ্টা করেন, তাহলে কিন্তু আন্দোলনের সামনে দিশা পাবেন না।’
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এ ঘোষণা দেন আল নাহিয়ান খান জয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, ‘যারা মূর্তি ও ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে, তাদের উদ্দেশ্য আমরা বুঝে গেছি। তারা তাদের পেয়ারে-পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। তারা পাকিস্তানের ভালোবাসা এখনো ছাড়তে পারে নাই। তারাই দেশে অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ওরা ফেসবুকে বড় বড় কথা বলে। সাহস থাকলে সামনে আসেন। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি, একাই চলি, আমি একাই একশ। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী একাই একশ।’ তিনি আরো বলেন, 'বিজয়ের মাস আমরা কি দেখলাম। যিনি আমাদের এ বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, সেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের অবমাননা করেছে। আপনারা সবাই জানেন, এই ডিসেম্বরে কারা এই কাজ করতে পারে। ১৯৭১ সালে যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি, যারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা তারা এই কাজ করেছে।’
এ সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, এর আগে আমরা প্রতিবাদ করেছি, এবার প্রতিরোধের সময় এসেছে।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ প্রমুখ।