‘ফ্রেন্ডশিপে’ ভাগ্য ফিরেছে মোংলার দুঃস্থ নারীদের
উপকূলীয় অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জীবনমান উন্নয়নে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশিপ’। সংস্থাটি মোংলা উপজেলার শতাধিক নারীকে বিভিন্নভাবে সাবলম্বী করেছে। এরই মধ্যে উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের ৯০ জন দুঃস্থ নারীকে ছাগল, মৌসুমভিত্তিক বিভিন্ন জাতের সবজির বীজ বিতরণ ছাড়াও ফলদ গাছের বাগান করে দিয়েছে।
বুড়িরডাঙ্গার বাসিন্দা তপতি হালদার, ইতি রায়, দেবদি হালদার ও সাথী বিশ্বাস জানান, ‘ফ্রেন্ডশিপ’-এর সহযোগিতায় তাদের ভাগ্য ফিরেছে। তাদের দেওয়া ছাগল পালন করে তাঁরা সাবলম্বী হয়েছেন। এ ছাড়া তাদের দেওয়া সবজি ও ফলদ বীজে লবণাক্ত মাটিতে জৈব পদ্ধতিতে তা উর্বর করে চাষাবাদ করছেন।
ফ্রেন্ডশিপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সমাজে পিছিয়েপড়া দুঃস্থ নারীদের সাবলম্বী করতে তাঁরা সবসময় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যেসব দুঃস্থ নারীকে ছাগলসহ বিভিন্ন ফলদ বীজ বিতরণ করা হয়েছে, তা দিয়ে তাদের আয়-রোজগার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সম্পদ বৃদ্ধি এবং সমাজে সুশাসন যেমন বাল্যবিবাহ রোধসহ পারিবারিক নির্যাতন বন্ধ হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নে এসব নারীকে নিয়ে তাদের কার্যক্রমের ধারা বৃদ্ধির একটি উঠান বৈঠক হয়। এ সময় তাদের দুঃখ-দুদর্শার কথা শুনে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকার করে ফ্রেন্ডশিপ কর্তৃপক্ষ।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম, আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. আতিকুল ইসলাম, প্রজেক্ট ইনচার্জ মো. মোল্লা আসলাম হোসেন, ক্লিনিক সুপারভাইজার মো. সেলিম বাসার, মাঠ কর্মকর্তা শাওন হালদার ও আনোয়ার হোসেন।