ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না ওসি প্রদীপ
হত্যা, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার কারণে টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে টেলিফোনে স্বজন ও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান মামলার শুনানি শেষে এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপকে আবারও হাজির করা হয় চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে। আসামির পক্ষে করা দুটি আবেদনের মধ্যে একটি নাকচ করেছেন আদালত। তবে জেল কোড অনুযায়ী তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে তিন কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। এ মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার দেখাতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিকে হাজির করা হয়। দুদকের আবেদনে এ মামলায় প্রদীপকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মামলার শুনানি শেষে সরকারপক্ষের আইনজীবী জানান, আইজি প্রিজনের সার্কুলার অনুযায়ী জেএমবিসহ জঘন্য অপরাধে জড়িত বন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে কারাগার থেকে ফোনে কথা বলার সুযোগ নেই। তাই আসামিপক্ষের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
দুদকের আইনজবী মাহামুদুল হক মাহামুদ বলেন, ‘ওসি প্রদীপ একজন জঘন্য অপরাধী। তিনি চাঁদাবাজি, হত্যাসহ নানা অপরাধে কারাবন্দি। সরকারের সর্বশেষ সার্কুলার অনুযায়ী স্বজনদের সঙ্গে কারাগারে বসে তাঁর কথা বলার আবেদন নাকচ করা হয়েছে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘ওসি প্রদীপ জেএমবি সদস্য নন। তাঁর বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধের মামলাও নেই। সঙ্গত কারণে তাঁর বিরুদ্ধে আরো কিছু মামলাসহ অ্যারেস্ট দেখানো আছে। তাই আবেদন মঞ্জুর করেনি। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসার আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।’