ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
ফেনীতে ফেসবুক লাইভে এসে তাহমিনা নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তাঁর স্বামী। হত্যার পর নিজেই পুলিশকে খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলকে আটক করে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে ফেনী পৌরসভার উত্তর বারাহীপুর ভুঁইয়াবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওবায়দুল হক টুটুল ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এই দম্পতির দেড় বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। তিনি একই এলাকার গোলাম মাওলা ভুঞার ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের বোন রেহানা আক্তার জানায়, পাঁচ বছর আগে ভালবেসে কুমিল্লার তাহমিনা আক্তারকে বিয়ে করেন টুটুল। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আর্থিক অস্বচ্ছলতা নিয়ে তাদের পরিবারে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ লেগে থাকতো। এরই মধ্যে টুটুল তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে বেশ কিছু টাকাও নেন। কিন্তু আরো টাকা চাইলে পরিবার দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
একপর্যায়ে আজ দুপুরে ফেসবুক লাইভে এসে টুটুল তাঁর স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে নিজেই থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
এদিকে, টুটুলের ছোটভাই এমদাদ হোসেন মেহেদী দাবি করেন, ‘টুটুলের স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের সঙ্গে অন্য পুরুষের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ কারণে তাঁর ভাই টুটুল উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেন।’
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, ’পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তেরর জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’