ফেসবুকে ‘আল-বিদা’ স্ট্যাটাস, ঢাবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ‘আল-বিদা’। এ স্ট্যাটাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় বরিশালের উজিরপুর উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে ইমামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি ঢাবির কবি জসীমউদ্দিন হলে থাকতেন।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর বাবা তোতা মিয়া একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন। ওই শিক্ষার্থী তাঁর ঘরের টিনের চালের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।’
বরিশালের পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনের কাছে দাবি করেন, ‘ওই শিক্ষার্থী তাঁর নিজের ঘরের ভেতরে গলায় দড়ি দিয়ে মারা যান। শুনেছি, শিক্ষার্থীর বাবা একজন দফাদার।’
গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আল-বিদা’ লিখে স্ট্যাটাস দেন ঢাবি শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন। তাঁর সঙ্গে ভাঙা লাভ ইমোজি জড়িয়ে পোস্টটি শেয়ার করেন।
ঢাবির কবি জসিমউদ্দীন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুর রশিদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইমাম হোসেনের আত্মহত্যার বিষয়টি আমি শুনেছি। সে তার গ্রামের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছে।’
ইমাম হোসেনের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে হতাশ ছিলেন। প্রেমঘটিত কারণে হতাশা থেকে ইমাম আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা বন্ধুদের।
বন্ধুরা আরো জানায়, গ্রামের বাড়িতে ইমামের কাছে প্রতিদিন কিছু স্থানীয় শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়তে আসত। আজ সকালেও শিক্ষার্থীরা আসে। তখন ইমাম তাদের বলেন, ‘তোমাদের অনেক দিন কোনো ছুটি দিচ্ছি না। একটু রেস্ট নেওয়া দরকার। তোমরা আগামী দুদিন পড়তে এসো না।’ তার পরই হয়তো ইমাম আত্মহত্যা করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল মালেক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ইমাম হোসেনের এই ঘটনাটি আমি অন্য একজন থেকে শুনলাম। তবে কোনো আত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষী আমাকে ঘটনার ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি। আমি সর্বোচ্চ খোঁজ-খবর নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি শুনেছি। বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছি।’