ফেরিঘাটে ৫ হাজার মানুষ দেখে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা যাবে না : নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসরণ করছে। ফেরিঘাটের এক হাজার, দুই হাজার বা পাঁচ হাজার মানুষ দেখে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। ত্রাণ কার্যক্রমের তালিকায় থাকা কোনো নাম যেন বাদ না যায় সে বিষয়ে আরো সজাগ থাকতে হবে। বর্তমানে দেশের কানেকটিভিটি খুবই স্ট্রং। এক্ষেত্রে ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ নেই। ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে অনেকে অহেতুক বিতর্ক করেছে। অনেকের নগদ বা বিকাশের অ্যাকাউন্ট নাই। তাই দোকানের বা নিরাপদ কারো নম্বর দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। ভ্যানওয়ালা বা জুতা সেলাই যে করে তাঁর কিন্তু বিকাশ নম্বরের দরকার নেই; যদি না তাঁর কোনো সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মসজিদ, কওমী মাদ্রাসা ও খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। তাঁর এসব কার্যক্রম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজকে অস্থির। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও অস্থির হয়ে বিভিন্ন কথা বলছেন।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী আকাশের দিকে চেয়ে কান্না করেছেন। ব্রিটেনে বরিস জনসন নিজেই আক্রান্ত হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের প্রতিনিয়ত সাহস দিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ অনেক সাহসী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়ম নেই। এটা আগামীর জন্য সব সময় অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
করোনা পরিস্থিতিতে দুরন্ত শিশুরা ঘরে অবস্থান করায় তাদের ধন্যবাদ জানান নৌপ্রতিমন্ত্রী। তিনি ঘরে অবস্থান করা শিশুদের স্যালুট জানান। তিনি বলেন, যারা স্কুল ও খেলার মাঠে যেতে পছন্দ করে, তারা কিন্তু ঘরে আছে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এ সময়ে স্থানীয় প্রশাসনের করণীয় তুলে ধরে তিনি বলেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কাউন্সিলিং করে সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মানতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনাত রহমানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, বিরল পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর এবং সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়।