ফেনীতে শিশুসহ আরো ৩১ জন করোনায় আক্রান্ত
ফেনীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সাত শিশুসহ ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের ৩০ জনের মধ্যে আটজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সিভাসু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯২টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তাঁর মধ্যে ৩১ জন পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ থেকে দুটি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সেগুলো নেগেটিভ বলে জানিয়েছেন ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমমন্বয়ক ডা. শরফুদ্দিন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩১ জনে মধ্যে সাতজন শিশুসহ ১৭ পুরুষ ও ১৪ জন নারী রয়েছেন। এদের বয়স শূন্য থেকে ১০ বছরের পাঁচজন, ১১ বছর থেকে ৩০ বছরের ১০ জন, ৩০ থেকে ৫০ বছরের ছয়জন এবং ৫০ এর বেশি ১০ জন রয়েছেন।
উপজেলা হিসাবে ফেনী সদর উপজেলায় ১৩ জন, ছাগলনাইয়ায় চারজন, পরশুরামে চারজন, দাগনভুঞায় চারজন, সোনাগাজীতে চারজন এবং ফুলগাজীতে দুজন শনাক্ত হয়েছে। এদের সবাইকে বাড়িতে চিকিৎসা দেওয়া হবে জানিয়েছেন ডা. শরফুদ্দিন।
এ পর্যন্ত ফেনী থেকে ৯৪৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৭৭০টির রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ১৭৯টি রিপোর্ট আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত সপ্তাহ থেকে সামাজিক দূরত্ব না মেনে বেপোরোয়াভাবে ঈদের কেনাকাটা করার জন্য বাজারে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল মানুষজন। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি সহনীয়ভাবে দেখেছে। এ অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব না মানার কারণে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন প্রকট আকারে হওয়ায় ফেনীতে হঠাৎ করে লাফিয়ে লাফিয়ে করোনো সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
গত তিন দিনে দুই চিকিৎসক, পাঁচ স্বাস্থ্যকর্মী, একজন জনপ্রতিনিধিসহ ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতি, ফেনী চেম্বার অব কমার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন যৌথভাবে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সব দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সে ঘোষণা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী নেতারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে নেমেছে।