ফাদারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এক আদিবাসী কিশোরীকে (১৫) আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ফাদার প্রদীপ গ্যা গরির (৫০) বিরুদ্ধে। উপজেলার মুণ্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকার সাধুজন মেরি ভিয়ান্নি গির্জা থেকে আজ মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে থানায় আনা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হবে।
নির্যাতনের শিকার আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত শনিবার সকালে গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরের দিন রোববার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই। পরের দিন সোমবার দুপুরের পর জানা যায় নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দি অবস্থায় আছে। পরে কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে।
এরপর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরেই শালিসি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে গির্জা থেকে অপসারণ করা হয়। ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়। সেইসঙ্গে বলা হয় থানা থেকে নিখোঁজের জিডি প্রত্যাহার করে নিলে ওই কিশোরীকে পরিবারের কাছে পাঠানো হবে। এ ছাড়া সাবালিকা হওয়া পর্যন্ত ওই কিশোরীর খরচ বহন করবে গির্জা কর্তৃপক্ষ।
আজ দুপুরে ওই কিশোরীর ভাই থানায় গিয়ে জানান, তাঁর বোনকে পাওয়া গেছে। কিন্তু তাকে পরিবারের কাছে ফিরেয়ে দেওয়া হচ্ছে না। গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও শালিসি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি তাঁকে আটকে রেখেছেন।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
ওসি রাকিবুল হাসান জানান, ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। শালিস বৈঠকের পর থেকে গির্জার অভিযুক্ত ফাদার পলাতক রয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।