ফরিদপুরে ১৭টি চেকপোস্ট বসিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তির আলোকে জেলা পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে গতকাল বুধবার থেকে। এরই মধ্যে জেলার প্রধান প্রধান মহাসড়কগুলোতে ১৭টি চেকপোস্ট বসিয়ে সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কঠোরতায় কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কের সব ধরনের যানবাহন ও ব্যক্তিপর্যায়ে আসা-যাওয়া। এ ছাড়া শহরে প্রবেশে প্রধান সড়কগুলোর মুখসহ ৩০টি স্থানে সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবাইকে বারবার বুঝাচ্ছি যে আপনার কারণে যেন আপনার পরিবারসহ সমাজের সাধারণ মানুষ ঝুঁকিতে না পড়ে। সবাইকে বাড়িতে থাকতে বলছি।’
পুলিশ সুপার বলেন, জেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে অন্যসব জেলার সঙ্গে সংযোগ বিছিন্ন করতে ১৭টি চেকপোস্ট বসিয়ে অপ্রয়োজনীয় আসা-যাওয়া বন্ধ করা ও গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
ফরিদপুরের করোনা চিত্র
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৯ জন। এ যাবৎ কোয়ারেন্টিনে ছিলেন এক হাজার ৭৫৯ জন। ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫৩৩ জন।
দুদিন ধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন চারজন। এর মধ্যে তিনজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আজ বাকি একজনের নমুনা পাঠানো হবে। এ পর্যন্ত ৩৯ জনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট এখনো আসেনি।