ফরিদপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলা করায় হুমকির অভিযোগ
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করায় বাদীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদী শিশুটির চাচা পারভেজ সালথা থানায় গত ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে শিশুটির পরিবার। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছে।
সাধারণ ডায়েরিতে পারভেজ অভিযোগ করেন, আসামির স্বজন মুরাদ শেখ, হানিফ মুন্সি ও লুৎফর মুন্সি তাকে দেখে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওই মামলা তুলে না নিলে যেকোনো সময় ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাধারণ ডায়েরি করার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থী স্থানীয় স্কুলের মাঠে খেলা করছিল। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের দপ্তরি সুজন শেখ (২৪) ও তার বন্ধু সোহাগ খলিফা (১৮) শিশুটিকে ফুসলিয়ে বিদ্যালয়ের পুরাতন পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে যান। সেখানে দপ্তরি সুজনের সহযোগিতায় সোহাগ শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানায়। এ সময় শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় অভিভাবকরা তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
জানতে পেরে সালথা থানা পুলিশ রাতেই সুজন ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন সকালে শিশুটির চাচা পারভেজ বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে সালথা থানায় মামলা করেন।
শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিপুণ মজুমদার বলেন, ‘শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন আদালত। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে পারব না।’
তবে আদালতে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে তিনি দাবি করেন যে, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে মামলার সঙ্গে আসামিদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।