ফরিদপুরে নদী দখল করে দোকান তৈরির অভিযোগ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় ভুবেন্বশ্বর নদীর তীর দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী ইয়ার আলী মোল্যার বিরুদ্ধে।
বেদখল হওয়া জমির পাশের দোকানঘর মালিক আব্দুস সাত্তার ও শওকত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরজমিনে গিয়ে নদীর সরকারি জমির খালের অংশের ওপর দোকান ঘর তৈরির কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে আবার দোকান তৈরির কাজ বহাল তবিয়তে চলছে। অথচ একই সারির অন্যান্য দোকানঘর মালিকরা সরকারের কাছ থেকে পেরিফেরি প্লটভুক্ত অর্ধ শতাংশ করে জমি বন্দোবস্ত নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) আবু বক্কার ছিদ্দিক জানান, বেদখলীয় দেড় শতাংশ জমির মধ্যে ১৬৪ নম্বর চরভদ্রাসন মৌজার ১ নম্বর খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত অর্ধ শতাংশ পেরিফেরি প্লটভুক্ত জমি। কিন্ত দখলদার একই সীমানার মেইন রাস্তার ঢাল অংশের নদীর মধ্যে আরো এক শতাংশসহ মোট প্রায় দেড় শতাংশ সরকারি জমি জবর দখল করে ঘর নির্মাণ করে চলেছেন।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দখলদার রাস্তা ঘেঁষে টিনের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে ২০ থেকে ২৫ শ্রমিক ও মিস্ত্রি দিয়ে দ্রুত দোকানঘর তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইয়ার আলী মোল্যার মোবাইলে কল দিলে তাঁর স্ত্রী লুনা বেগম জানান, জমিটি নয় বছর আগে রশিদ খলিফার কাছ থেকে আমরা কিনেছি। যতুটুক ঘর উঠানো হচ্ছে ঠিক ততখানি জমিই কিনেছি। দখলের যে অভিযোগ উঠেছে সেটি সত্য নয়। সরকারি যে নিয়ম রয়েছে সেটি মেনেই নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা নাসরীন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার দখলদার পেরিফেরি প্লটভুক্ত অর্ধ শতাংশ জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। এ অবস্থায় ডিসিআর দেওয়া যাবে কিনা সেটা আমাদের বিবেচনার ব্যাপার। দখলীয় নদী সিকস্তি এক শতাংশ জমির ওপর নির্মাণাধীন দোকান ভেঙে ফেলার জন্য দখলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’