ফরিদপুরে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুদল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের নগরকান্দা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, যুদুনন্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে প্রতিপক্ষ জাহিদ মিয়ার সমর্থকদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই সূত্র ধরে আজ দুপুর দেড়টার দিকে উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষে উভয় দলের ওসমান মোল্যা, মিজান মোল্যা, রানা শেখ, রাসেল, আশরাফ, জাফরসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে যুদুনন্দি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন মিয়া বলেন, ‘ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের মামাতো ভাই জাহিদ মিয়া ও তার সমর্থক টুলুর নির্দেশে আমার সমর্থকদের ১০টি বসতঘর ভাঙচুর, ২০টি গরু, ২০টি ছাগলও লুটপাট করেছে তার লোকজন। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তারা রাজাকার পরিবারের লোকজন । এটা নিয়ে বাপ দাদাদের সময় থেকে আমাদের শত্রুতা চলছে। সংঘর্ষের সময় আমার ইটভাটার ভিতর ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে একটি মামলা করা হবে সালথা থানায়।’
অপরদিকে জাহিদ মিয়া বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকি না। আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।’
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ চলাকালীন পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমান এলাকা শান্ত আছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’