ফরিদপুরে চিকিৎসক সংকট, জরুরি সভা করলেন সাংসদ মোশাররফ
কয়েকদিন ধরে ফরিদপুরের হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চলছে চরম চিকিৎসক সংকট। সাধারণ রোগীরা হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন। এই বিষয়টি কয়েকদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয় জেলায়। এমন পরিস্থিতিতে জেলার সরকারি হাসপাতালের প্রধানদের নিয়ে জরুরি সভা করলেন সাবেক মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি।
গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা হয়। ফরিদপুর জেলা করোনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিটির উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি।
এ সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশ এখন একটি দুর্যোগময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এমন সময়ে আপনারা চিকিৎসকরা যে ওয়াদাবদ্ধ দেশ ও জাতির কাছে সেটা পালন করুন। তিনি বলেন, আপনারা নির্দেশ দেন কীভাবে রোগীকে আপনাদের সামনে হাজির করতে হবে। আমরা সেভাবে রোগীকে আপনাদের কাছে পাঠাব। কিন্তু আপনারা সেই দায়িত্ব পালন না করে সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসাসেবা থেকে দূরে থাকেন তাহলে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার কোনো উপায় আমাদের কাছে আর থাকবে না। আপনারা আসুন আমরা একযোগে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করি। এখন থেকে আপনাদের যে দায়িত্ব সেটা সঠিকভাবে পালন করুন।’
সভায় পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দিকুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সাইফুর রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবিরুল ইসলাম, জেলা বিএমএর সভাপতি ও ডায়াবেটিক হাসপাতাল সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মানিক কুমার রায়, সদর উপজেলা নির্বাহী মো. মাসুম রেজা, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এইচ এম ফুযাদ, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ জেলার প্রধান প্রধান অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
গত কয়েকদিন ফরিদপুরের সরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকের চিকিৎসকরা হাসপাতালে যাচ্ছেন না ভয়ে। এ ছাড়া নোটিশ টানিয়ে দিয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকের কিছু কিছু চিকিৎসক চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে আত্মগোপন করে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।