ফরিদপুরে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ৭
ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে সদর উপজেলার ডিক্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিন্টুসহ উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সিঅ্যান্ডবি ঘাটের কাছে একটি খালের দখল নিয়ে চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুর চাচা হাসেম ফকিরের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আবুর দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি খালের বিষয়ে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় হাসেম ফকিরের পক্ষে রায় যায়। এ রায় পাওয়ার পর দুপক্ষকে নিয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সিঅ্যান্ডবি ঘাট এলাকায় অবস্থিত ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে সালিশ বৈঠকে বসেন চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু।
সালিশ বৈঠকের একপর্যায়ে চেয়ারম্যানের ওপর আনোয়ার হোসেন আবু ক্ষিপ্ত হন এবং হুমকি দিয়ে সালিশ বৈঠক থেকে চলে যান বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান মিন্টুর পক্ষের লোকজন। এর কিছুক্ষণ পর দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
এ সময় আনোয়ার হোসেন আবু পক্ষের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু। তিনি বলেন, ‘আমি একজন চেয়ারম্যান হলেও আমার ওপর হামলা করা হলে তারা কী না করতে পারে?’
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আবু বলেন, ‘চেয়ারম্যানের পক্ষই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমার দুই ভাইকে কোপানো হয়েছে। তারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।’ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান আনোয়ার হোসেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বেলাল হোসেন জানান, গতকাল সন্ধ্যায় একটি সালিশ বৈঠকে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো কোনো পক্ষের কাছ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এসআই বেলাল।