ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। উপজেলার তালমা মোড়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেনের সঙ্গে সংসদ উপনেতার ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে তালমা মোড়ে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর সমর্থকরা আওয়ামী লীগের একটি অফিস উদ্বোধন করেন। এর জের ধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষেরই দুটি অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করা হয়।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে জামালের সমর্থক আজম খাঁ, নিরু শেখ, ফজলু পাটাদার ও আবু পাটাদারকে ফমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া লাবুর সমর্থক রাজু খান ও মেহেদি ফকিরও ফমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘লাবু চৌধুরী প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন। আমাদের লোকজন হামলার শিকার হলেও মামলা নেওয়া হয়নি। আমার চার সমর্থক গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেলে ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া আমাদের দীর্ঘদিনের তালমা মোড়ের আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসটি ভাঙচুর করা হয়েছে।’
অপরদিকে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর সমর্থক ও মামলার বাদী মেহেদি ফকির বলেন, ‘জামাল মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর চালায়। তারা আমাকেসহ কয়েকজন সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিরাজ হোসেন জানান, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এরই মধ্যে তালমা মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেহেদি ফকির বাদী হয়ে জামাল মিয়াসহ তাঁদের পক্ষের লোকজনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন।