প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর পরিবারের পাশে বিএনপি মহাসচিব
শফিউল বারী বাবু একজন জাতীয়তাবাদী আদর্শের দক্ষ সংগঠক ছিলেন। দেশের চরম ক্রান্তিলগ্নে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলকে সুসংগঠিত করে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের প্রতি তাঁর অবদান বিএনপি আজীবন স্মরণে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ সোমবার ছাত্র নেতা ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাবুর ইস্কাটনের বাসায় যান। এ সময় তিনি প্রয়াত শফিউল বারী বাবুর স্ত্রী বীথিকা বিনতে হোসাইন এবং তাঁর দুই সন্তান নুজহাত ফাতেমা বারী ও আহইয়ান বারী রয়ীদের খোঁজখবর নেন। বিএনপি মহাসচিব বাবুর দুই সন্তানের মাথায় আদর ও স্নেহের পরশ বুলিয়ে দেন।
এ সময় সিঙ্গাপুর বিএনপি পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল আর্থিক সহায়তার একটি চেক বাবুর সন্তানদের হাতে তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়া (জুয়েল), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছাদরেজ জামান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক নেতা একিউএম বদরুদ্দোজা শওকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন নাছির, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আপেল মাহমুদ প্রমুখ।
শফিউল বারী বাবু ছাত্রজীবন থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপদ্রুত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন শফিউল বারী বাবু। চলমান বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের শুরু থেকে নিরন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন ত্রাণসামগ্রী নিয়ে। এই মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মধ্যেই গত জুলাই মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।