প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে ঝাঁড়ফুক দেওয়ায় খুন হন কবিরাজ
চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা এলাকায় প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে ঝাঁড়ফুক করায় খুন হয়েছিলেন মাওলানা সায়ের মোহাম্মদ সাগর (৩৮) নামের এক কবিরাজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শিকলবাহা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় প্রধান আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এ তথ্য জানায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন প্রধান আসামি শিকলবাহা এলাকার বাসিন্দা মো. মহিউদ্দীন (২২), তার ছোট ভাই মো. রাব্বী (২০), মো. কাইয়ুম (২০), মো. ইরফান (২০), নাইমুল হক সাকিব (১৯) ও সন্দ্বীপ উপজেলার কেঞ্জাতলী এলাকার আবদুল করিম রিফাত (২১)।
আর নিহত কবিরাজ সায়ের মোহাম্মদ সাগর শিকলবাহা এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিনের সঙ্গে এলাকার একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানার পর মেয়ের মা কবিরাজ সায়েরের কাছে গিয়ে ঝাঁড়ফুক করিয়ে তাদের পৃথক করার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে মহিউদ্দিন ও মেয়েটি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন।’
র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক ভাঙতে ঝাঁড়ফুক করার বিষয়টি মহিউদ্দিনকে জানায় মেয়েটি। এই কারণে মহিউদ্দিন কবিরাজ সায়েমের প্রতি ক্ষুব্ধ হন। ঘটনার দিন চাচির অসুস্থতার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় কবিরাজ সায়ের মোহাম্মদ সাগরকে। চরলক্ষ্যা এলাকায় নিয়ে মারধর করেন মহিউদ্দিন ও তাঁর সহযোগীরা। আহতবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেদিন রাতে সায়ের মারা যান।’
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, ‘এটি একটি ক্লুলেস মার্ডার ছিল। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে র্যাব-৭ এর একাধিক টিম কাজ করেছে। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছি। পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি।’
গ্রেপ্তারকৃতদের কর্ণফুলী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান মামুন।