প্রেমিকার সঙ্গে সাক্ষাতের পর তরুণের ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলার একটি বাসায় সামির হোসেন (১৮) নামের এক তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, সামির গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মা মুন্নি বেগম জানান, সন্ধ্যায় বন্ধু ইমনের ফোন পেয়ে বাসা থেকে দ্রুত বের হন সামির। এর দেড়-দুই ঘণ্টা পর বন্ধু ইমনই তাঁকে বাসায় খুঁজতে আসে। খোঁজাখুঁজি করে তাদের বাসার ছাদেই পাওয়া যায় সামিরকে। তবে লোহার অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে তার দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সামিরের বন্ধু ইমন জানান, এলাকারই একটি মেয়ের সঙ্গে ইমনের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গতকাল সোমবার সন্ধ্যার আগে মেয়েটি ইমনের ফোন থেকে সামিরকে কল দিয়ে কথা বলেন। এরপর বাসার নিচেই দেখা করেন তাঁরা। পরে দুজন হাঁটতে হাঁটতে অন্যদিকে যান। সেখান থেকে সামির বাসায় চলে আসেন। এরপর আর ফোন ধরেননি। তখনই ইমনসহ তাঁর বন্ধুরা সামিরকে খুঁজতে থাকেন। শেষমেশ বাসার ছাদে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় সামিরকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে সামির আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের লোক জানিয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চার ভাইবোনের মধ্যে সামির ছিলেন তৃতীয়। আগে ইলেকট্রিক কাজ করলেও কিছুদিন ধরে বেকার ছিলেন তিনি। তাঁর বাবা সোলেমান তাঁদের ছেড়ে আলাদা থাকেন। মা মুন্নি বেগম সন্তানদের নিয়ে যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলা ক্লাব সংলগ্ন সাততলা বাড়ির পাঁচতলায় ভাড়া থাকেন।