প্রার্থীদের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনটা কেমন হবে : শাহাদাত
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘সবকিছুর দায়ভার শুধু ইভিএমের ওপর না দিয়ে আমরা আশা করব, দলগুলো রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নির্বাচনী সংস্কৃতি যেটা আছে এটার ব্যাপারে একটু নজর দেবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এটা হবে। প্রত্যেক দলই গণতন্ত্রমনা এবং উনারা চাইলেই ভালো নির্বাচন হবে। এমন না যে, নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে- এটাকে প্রমাণ করার জন্য না নেমে, নির্বাচনে জেতার জন্য যদি নামেন, তখন দেখবেন ভোটাররাও আসবে। সুতরাং যারা প্রার্থী তাদের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনটা কেমন হবে।’
আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন। এ সময় আঞ্চলিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুনীর হোসাইন খান বক্তব্য দেন।
জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ইভিএমের ওপর আস্থা রাখা উচিত উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ইভিএমে যে পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন নেই এবং এখানে যে হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যারওলো থাকবে এটা আদালত যদি চায় আমরা উপস্থাপন করতে পারব। সেখানে কখন কে কোন বোতামে টিপ দিয়েছে সেটা পর্যন্ত আমরা দিতে পারব। এখানে ইভিএমের ওপর আস্থা হারানোর কোনো কারণ নেই। বর্তমান সময়ে নির্বাচনের সব অনিয়ম আছে সেগুলো ইভিএমএর মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।’
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন কখনোই খারাপ হতে পারে না উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই আইনের মাধ্যমে একটি অভিযোগ করতে পারেন। আদালতে উনার জন্য কিন্তু দ্বার খোলা আছে।’
আসন্ন নির্বাচনকে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলেও জানান নির্বাচন কমিশনার।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রার্থীদের যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা আগামী ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রত্যাহার করতে পারবেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীদের মধ্যে ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। তারপরই শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। এবারই প্রথমবারের মতো ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের সব কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করেছে বিএনপি।