প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার অনুমোদন পায়নি একনেকে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়ার জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়নি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়াই বড় অঙ্কের টাকার এ প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করায় তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
আজ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপাসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভার কার্যক্রমে অংশ নেন। সভায় একনেক সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ৪৯২ উপজেলা ও ২১টি শিক্ষা থানায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দিতে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্পটি একনেকে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়ার প্রকল্পটি আজকের একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এটির সম্ভব্যতা যাচাই করে কী প্রদ্ধতিতে খাবার দিলে শিক্ষার্থীরা আরো বেশি উপকৃত হবে, সে দিকটি বিবেচনায় এনে প্রকল্পটি আবার উপস্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের আরও বলেন, এ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য ছিল ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা। নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা। প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার কমানো এবং ভর্তি ও উপস্থিতির হার বাড়ানো।
মন্ত্রী বলেন, স্কুল মিল প্রকল্পটি ছাড়া আজকের সভায় পাঁচ হাজার ২৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে অপর নয়টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কুষ্টিয়া (ত্রিমোহনী)-মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ আঞ্চলিক মহাসড়কটির কুষ্টিয়া হতে মেহেরপুর পর্যন্ত যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ (৬২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অবকাঠামোগত বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ প্রকল্প, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র প্রকল্প, অর্থনৈতিক জোন উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত পল্লী কর্মসংস্থান সহায়তা প্রকল্প, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলাধীন বড়খেরী ও লুধুয়াবাজার এবং কাদের পণ্ডিতের হাট এলাকা ভাঙন থেকে রক্ষাকল্পে মেঘনা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড পাওয়ার প্রকল্প এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপজেলা পর্যায়ে মহিলাদের জন্য আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ প্রকল্প।