প্রস্তাবিত বাজেট অবাস্তব নয় : এফবিসিসিআই
আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ‘অবাস্তব নয়’ বলে মনে করছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই)। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট অবাস্তব নয়। তবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা আনা জরুরি।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার বাজেটের ব্যয় বেড়েছে ১২ ভাগ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, জাতীয় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ নির্ধারণ করে আগামী অর্থবছরের জন্য যে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা প্রমাণ করে দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাজেট বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জের বিষয় উল্লেখ করে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি সরকারের প্রতি সুপারিশ রেখে বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি রাখা হয়েছে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। ঘাটতি মেটাতে সরকারকে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিতে হবে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা এবং সেভিংস সার্টিফিকেট (সঞ্চয়পত্র) থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা।
ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সুলভ সুদে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের প্রচেষ্টা নেওয়ার অনুরোধ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি আরও বলেন, যথাযথ বিনিয়োগ ও শিল্পোন্নয়ন ছাড়া অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি, যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারেন।